পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১০-০৫-২০২৫ ০১:৩০:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-০৫-২০২৫ ০১:৩০:৩৯ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার (৯ মে) রাতে এ অভিযানের আওতায় ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। শনিবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) বৈঠক ডেকেছেন। এনসিএ দেশটির স্থল, আকাশ ও নৌ বাহিনীর জন্য যৌথ কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। তবে এর আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রীও এ সংস্থার সদস্য। এই কমিটিতে জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ, তিন বাহিনীর প্রধান, স্ট্র্যাটেজিক প্লানস ডিভিশনের (এসপিডি) ডিরেক্টর সদস্য হিসাবে রয়েছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিও নিউজকে জানান, পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি, উধামপুর বিমান ঘাঁটি, গুজরাট বিমান ঘাঁটি, রাজস্থান বিমান ঘাঁটি এবং ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহমোসের একটি মজুতস্থানে দেশটি হামলা চালায়। পাল্টা এ হামলায় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ওই কমর্কর্তা জানান, শুক্রবার রাতের হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বারামুলা জেলার উরি শহরে ভারতীয় সেনবাহিনীর একটি ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার এবং সরবরাহ বা রসদ ডিপো, নাগরোটা শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ব্যাটারি ধ্বংস হয়েছে।
এছাড়া ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সিস্টেমও ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭। শুক্রবারের হামলায় এটিকে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন পকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স